মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টাকার জন্য ভাগ্নেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছেন মামা। এরপর অটোরিকশাটি বিক্রি করেন তিনি।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মামা মো. জাবেদ।
সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় জাবেদের ভাগ্নে নেকবর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাণ হারানো নেকবর হোসেন উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। তিনি কোরআনে হাফেজ ছিলেন।
এ ঘটনায় নেকবরের বড় ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা করেন।
সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত কর বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নেকবরের মামা ও একই এলাকার ভাড়াটিয়া মো. রেজাউলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশির সন্ধান মেলে।’
পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেকবরের মামা মো. জাবেদ জানান, তিনি পেশায় অটোমিশুকের মিস্ত্রী ও অপর আসামি রেজাউল অটোচালক। এ সূত্রে আসামি দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। নগদ অর্থের প্রয়োজনে দুজনে মিলে নেকবরকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটি ছিনতাই করেন।
এরপর সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার মো. শাহাজালালের কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মামলায় তাকেও আসামি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ছিনতাই করা অটোচালকের ক্রেতা শাহজালালের দেয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিগ্রীরচর এলাকা হতে অটোর বিচ্ছিন্ন কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়।