বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশে ফেরার আকুতি লিবিয়ায় আটকে পড়া ৯ জনের

  • প্রতিনিধি, আনোয়ারা ও বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:৫৭

বাঁশখালীর ইউএনও জেসমিন আক্তার বলেন, ‘লিবিয়ায় আটকে পড়া বাঁশখালীর ৯ প্রবাসীকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’

‘লিবিয়ায় পড়ে আছি আজ কেউ ৯ মাস, কেউ ১০ মাস, কেউ এক বছর ধরে। দালাল চক্রের হাতে পড়ে এক মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। এখানে নেই কোনো কাজ। খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।’

লিবিয়ায় আটকে পড়া আরও আটজনকে সঙ্গে নিয়ে ইমোতে পাঠানো একটি ভিডিওবার্তায় কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদ করিম।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করে বলেন, ‘আমরা পরিবারের অভাব-অনটন দূর করার জন্য নিজের শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে এসেছি। বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না, আমাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।’

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে একে একে জমায়েত হন লিবিয়ায় আটকে পড়া ৯ জনের স্বজন। হাতে ছিল সন্তানদের ফিরে পাওয়ার লিখিত আবেদন।

স্বজনদের অভিযোগ, উপার্জনের লোভ দেখিয়ে অবৈধ পথে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। সেখানে নিয়ে জিম্মি করে চাওয়া হয় মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। প্রথম দফায় মুক্তিপণ পেয়ে অন্য একটি চক্রের কাছে তাদের বিক্রি করে দেয়া হয়।

প্রবাসীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এভাবে হাত বদলে কয়েক দফায় মুক্তিপণ দিতে হয় পরিবারকে। টাকা পাঠাতে দেরি হলে চলে চরম নির্যাতন আর বাড়ানো হয় মুক্তিপণের অঙ্ক।

লিবিয়ায় আটকে পড়া ৯ জন হলেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের শহীদ রুকনুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ কাউছার মিয়া, আজগর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আশেক ও তার ভাই ইব্রাহিম খলিল, বাঁশখালী পৌরসভার আইয়ুব আলী ও কাথরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ করিম।

আটকে পড়া আটজনকে নিয়ে একটি ভিডিওবার্তা পাঠান মোহাম্মদ করিম। দুই মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওবার্তায় তারা জানান বাঁশখালীর ইউএনও সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তারা এখন একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।

ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির কাছে দেশে ফেরার আকুতি জানান তারা।

রুকনুল ইসলামের বাবা শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে কাজ করত দুবাইয়ে। সেখানে পাশের ইউনিয়নের একটি ছেলে ইমোতে যোগাযোগ করে আমার ছেলেকে লিবিয়াতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখাতে থাকে। অনেক টাকা বেতন আর অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা বলে।

‘আমার ছেলের বয়স কম ও অনভিজ্ঞ হওয়ায় সে লোভে পা দিয়ে আটকে যায়। সেখানে গিয়ে কাজ তো পায়নি; উল্টো মানব পাচারকারী একটি চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে যায়। দফায় দফায় মুক্তিপণ দাবি করে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জায়গা-জমি বন্ধক রেখে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মতো দিয়েছি। অন্যান্য যারা আছেন তারাও এইভাবে মুক্তিপণেরর টাকা দিয়েছেন। টাকা দেয়ার সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে।’

বাঁশখালীর ইউএনও জেসমিন আক্তার বলেন, ‘লিবিয়ায় আটকে পড়া ৯ বাঁশখালীর প্রবাসীকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর