ঢাকার সাভারে বিশ টাকার স্ট্যাম্পে সুইসাইড (আত্মহত্যা) নোট লিখে নিজেই থানায় হাজির হয়েছেন এক কিশোর।
সাভারের আশুলিয়া থানায় পুলিশের ডিউটি অফিসারের সামনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুইসাইড নোটসহ ওই কিশোরকে বসে থাকতে দেখা যায়।
আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়া ওই কিশোর আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
এ সময় থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ওই যুবককে বুঝিয়ে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখেন।
প্রেমিকাকে নিয়ে তার পরিবারের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই তিনি এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তার মৃত্যুর পর পরিবার যাতে আইনি জটিলতায় না পড়ে সে জন্যই তিনি থানায় এসেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান।
সুইসাইড নোটে ওই যুবক লেখেন, আমি মো. শিমুল হাসান, বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বয়স ১৮। অতএব আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি আমার বুঝ বুঝতে শিখেছি। অতএব, আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করিয়া এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোন প্রকার ক্ষতি হয় বা আমি মারা যাই এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না।
আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমি নিজেই দায়ী। আমার কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আইন যাতে আমার পরিবার অন্য কারও উপর কোন প্রকার হয়রানি করতে না পারে।
আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সাথে কথা বলি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাই।
‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবার অনেক দরিদ্র। তার বাবা একজন কৃষক। একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। কারণ আরও কিছুটা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তারপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছেলেটির বাবা-মা ও আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছি। ছেলেটিকেও বুঝিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’