বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঘুষ খেয়ে’ প্রধান শিক্ষককে সরিয়েছেন দুই শিক্ষা কর্মকর্তা

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:৩৮

বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার নূপুর আক্তারকে দায়িত্বে রাখতে অনুরোধ করার পরও তাকে সরিয়ে ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা।

কোনো কারণ ছাড়াই ময়মনসিংহের ভালুকার একটি বিদ্যালয় থেকে নুপুর আক্তার নামে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘুষ খেয়ে নুপুর আক্তারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও)।

বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার নূপুর আক্তারকে দায়িত্বে রাখতে অনুরোধ করার পরও তাকে সরিয়ে ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে টিইও সৈয়দ আহমদ ও এটিইও দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৭১ নম্বর কাদিগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন কাচিনা-মল্লিকবাড়ি সড়কে এই মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ বক্তারা জানান, নুপুর আক্তার এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ছোট ছোট শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। পড়া-লেখার ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো করেছে। শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় মেধাবী করতে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তবুও বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকদের মতামতকে উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারকে কোনো কারণ ছাড়াই ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছেন ওই দুই কর্মকর্তা।

এর আগে স্কুলের সীমানা থেকে স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ও তার জামাতা রমিজ খানের বিরুদ্ধে বাঁশ কেটে মাটি ভরাট করে দখলের অভিযোগ করলেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে টিইও সৈয়দ আহমেদ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

গত মাসে এই বিদ্যালয়ে নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল রাখতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে শিক্ষর্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তিনবার আবেদন করা হয়। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমদ ও সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এসবের কোনো কিছুতেই পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সাইফুল ইসলাম ও তার জামাতা রমিজ খানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়েই উপজেলার দুই শিক্ষা কর্মকর্তা নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এ বিভাগের আরো খবর