বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদন ইস্যুতে সরকার আইনের কোনো ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মামলাগুলো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বিএনপি যদি মনে করে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তাহলে তারা আদালতে যেতে পারে। আদালত সেটি পরিষ্কার করবে।’
ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি সে মহানুভবতা দেখিয়েছিলেন যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? ক্ষমতায় থাকাকালে সিএমএইচ হাসপাতালে রোগী দেখতে সেনানিবাসে ঢুকতে দেননি, শেখ হাসিনাকে হেঁটে যেতে হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ যিনি নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট করেছে।
‘তার জন্মদিন ৪-৫টি, কোনোটিই ১৫ আগস্ট ছিল না। তার বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটি, পাসপোর্টে একটি, পরীক্ষার ফরম ফিলাপে একটি এবং সর্বশেষ করোনা হওয়ার পর আরও একটি জন্ম তারিখ দেখা গেছে। কোনোটাতেই ১৫ আগস্ট ছিল না। যেদিন মানুষ শোক দিবস পালন করে, সেদিন তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু দরজা খোলা হয়নি। কী পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা যে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও দরজা খোলেননি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছিলেন। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি। যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সেগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই মামলায় তার বিচার হচ্ছে এবং তিনি সাজা খাটছেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনবার্সন করেছেন, তাদের প্রমোশন দিয়েছেন। এত প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। সেটি কি তারা কখনও করত? শুধু তাই নয়, তারা (বিএনপি) এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। বেগম জিয়া টিউলিপের নাম দেখে চুক্তি পর্যন্ত বাতিল করেছেন। কীরকম প্রতিহিংসা তার! সেই মানুষটির প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখাচ্ছেন, সেটি অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।’