চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের হত্যা ও অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করে কারাবন্দি লক্ষাধিক মুসলিমের মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।
শহরের এম আর সরকারি কলেজ রোডে রোববার বেলা ১১টায় সচেতন নাগরিক সমাজ নামক একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে সেটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়।
মানববন্ধনে বলা হয়, ১৯৩০ সাল থেকে উইঘুর মুসলিমদেরকে জাতিগত বিনাশ করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে কারাগার তৈরি করে প্রায় ১৫ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটক করে রাখা হয়েছে।
বক্তারা এই নির্যাতন বন্ধ করে কারাবন্দি উইঘুর মুসলিমদের মুক্তির দাবি জানান। তারা অবিলম্বে চীনের হাতে আটক দশ লাখ উইঘুর পুরুষকে বন্দিশালা থেকে মুক্তির দাবি জানান।
সচেতন নাগরিকের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘৭ বছর ধরে কারিগরি শিক্ষা দেয়ার নামে উইঘুর পুরুষদের পরিবার থেকে আলাদা করে জেলে বন্দি করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিন।’
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘২০০৯ সালে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম হত্যাযজ্ঞ চালায় দেশটি। সেই থেকে আজও সেখানে মুসলিম হত্যা-নির্যাতন লেগেই আছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় গণহত্যা চালানো হয়।’
পরিবেশকর্মী সরকার হায়দার বলেন, ‘উইঘুর মুসলমান সন্তানদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে। গর্ভপাত না ঘটালে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পঞ্চগড় সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গণসংহতি আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান সাজু, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী সরকার হায়দার, সাবেক ছাত্র নেতা বাবুল হোসেন, গ্রামবাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিবেশকর্মী সাইফুল ইসলাম শান্তি, সাংবাদিক নেতা মোশারফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা বাবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।