ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের স্থানে স্থানে অব্যবস্থাপনা-অবহেলার ছাপ। সর্বত্র এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা সংবাদ লিখতে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বনায়। কারণ রুমের কম্পিউটার, এসি, সোফা- কোনোটাই সেভাবে ব্যবহার উপযোগী নেই।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি।
ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান শনিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার ব্রিফিংয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা মিডিয়া সেন্টারের নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন তার কাছে। তাৎক্ষণিক কমিশনার নির্দেশ দেন- তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
জানা গেছে, দশ বছর আগে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মিডিয়া সেন্টারে দুটি কম্পিউটার, বসার জায়গায় সোফা ও এসি সংযুক্ত করেছিলেন। সেসব জরাজীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই।
নতুন কমিশনার সোমবার ‘মিট দ্য প্রেস’ শেষে সাংবাদিকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করে নতুন করে সবকিছু স্থাপনের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান- কয়দিনের মধ্যে বদল চান এ অবস্থার? সাংবাদিকরা সাতদিনের মধ্যে বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও হাবিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সাতদিন নয়, তিনদিনে বদলে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের বসার জায়গা।
নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি মিডিয়া ও ডিসি লজিস্টিককে ডেকে একটি এসি, দুটি নতুন আপডেটেড কম্পিউটার, নতুন সোফা ও টেবিল-চেয়ার স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার এমন ঘোষণায় গণমাধ্যমকর্মীরা কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজারবাগে ফোর্সদের ব্যারাকে যান হাবিবুর রহমান। সরেজমিনে তিনি সদস্যদের থাকার জায়গা, রান্নাঘর, বাথরুম, জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক তিনি সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেন।