দেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০২২ সালের ১ অক্টোবর এই দিনে ৮৭ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন তিনি। দৈনিক বাংলার পুনঃযাত্রাতে তিনিই ছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক। এ সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রথম প্রয়াণ দিবসে এই প্রথিতযশা সাংবাদিককে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা পরিবার।
১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। একই বছর তাকে সম্মানিত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচার হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তোয়াব খান। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন যশস্বী এ সাংবাদিক। দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সবশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।