চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার বাবা।
উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে শনিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৪০ বছর বয়সী মর্জিনা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে।
মর্জিনাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রোকসানা খাতুন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে মর্জিনা খাতুন বাবার বাড়িতেই থাকতেন। একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে যৌথভাবে ঋণ নিয়ে বসতঘর নির্মাণ করেন আজিজুল হক ও তার মেয়ে মর্জিনা খাতুন।
‘ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে শনিবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত দুইটার দিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মর্জিনা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন বাবা আজিজুল হক।’
তিনি আরও জানান, মাকে বাঁচাতে এলে ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয় মর্জিনার মেয়ে রোকসানা খাতুনও। পরে মর্জিনা ও তার মেয়েকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মর্জিনাকে মৃত বলে জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান মর্জিনা খাতুন। আহত রোকসানাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, মর্জিনা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন আজিজুল হক, যাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।