বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সব দেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে গেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন। আবার বলেন আমেরিকা না গেলে কী হবে? বাংলাদেশের গার্মেন্টসের সবচেয়ে বড় ব্যবসা হয় আমেরিকায়। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই ব্যবসা চলে যাবে, এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতারা এই আলোচনার আয়োজন করেন।
সভায় আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের জেলে যাওয়ার কারণ একটাই- যে কারণে খালেদা জিয়া জেলে আছেন, হাজারও নেতাকর্মী জেলে আছেন; যে কারণে হাজার হাজার মামলা। অনেকের শাস্তি হয়েছে, অনেকের শাস্তি হওয়ার পথে। এর একমাত্র কারণ ভোট চুরি করতে হবে, জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যেতে হবে।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাকে বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখনও নেত্রীর মুক্তি নেই, চিকিৎসা নেই। মৃত্যুর দিলে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজ দেখলাম শেখ হাসিনা বলেছেন যে আমাদের নেত্রীকে আবারও জেলে যেতে হবে। তারপর কোর্টের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে৷ তার মানে আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
‘অর্থাৎ এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কাঁধে নিয়েছেন। চিকিৎসাবঞ্চিত করার এই দায়ভার তাকেই নিতে হবে। শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তাকে তার পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয়। আমরা যখন রাস্তায় চলাফেরা করি তখন আমাদের জিজ্ঞাসা করে- আর কয়দিন? কয়েক মাস না। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচতে চায়। গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোরও ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। ভিসা নীতি ঘোষণা হয়েছে, চালুও হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে মিটিং করে ব্রাসেলসে ফিরে গিয়ে বলেছেন তারা বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন না। কারণ এদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।
‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বিচার বিভাগকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্বের কোনো দেশে কি দেখেছেন যে বিচারকদের ভিসা নীতির আওতায় এনেছে? সরকার ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।’