দিনাজপুরের বিরামপুরে পারিবারিক সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে ওয়াসিম আলী নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুইজন।
উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার।
প্রাণ হারানো ওয়াসিম খানপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। আহত দুজন হলেন একই গ্রামের ৩২ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন ও ৩৬ বছর বয়সী দবিরুল ইসলাম।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের পারিবারিক সালিশি বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। ওই সময় দুই পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে ওয়াসিম আলীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়।
‘তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে বিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছেন নিহতের বাবা। রাতেই সাতজনকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’