রাজধানীর গুলশানের নদ্দায় বাসের ধাক্কায় নিহত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মিলেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারীর ছেলেসহ স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে এসে মরদেহটি শনাক্ত করেন।
নিহতের ৬৮ বছর বয়সী নারীর নাম সাহেরা খাতুন। তার স্বামী প্রয়াত জসীমউদ্দীন। তাদের বাসা বসুন্ধারা ভাটাড়ায়।
নিহত নারীর বড় ছেলে নাজিমুদ্দিন বলেন, আমার মা গত দুই দিন আগে আমার মেজো মামা নুরুজ্জামানের মধ্য বাড্ডার মোল্লাপাড়ার বাসায় যান চিকিৎসা করাতে। শুক্রবার সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি বলেন, পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন হৃদয় মায়ের ছবিটি তার ফেসবুক পেইজে আপলোড করলে আমরা সেখান থেকে জেনে হাসপাতালে এসে আমার মাকে শনাক্ত করি।
এর আগে এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দুর্ঘটনায় আহত হন ওই এই নারী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মৃত নারীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বড় ব্যাগে তার কিছু কাপড় এবং কতগুলো ওষুধ ও ১৫৩০ টাকা পাওয়া যায়।
বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীর শরীরে কালো বোরকা ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছিল।
বৃদ্ধাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর একজন জাহিদ হোসেন হৃদয় জানান, বিকেলের দিকে গুলশানের নদ্দা কালাচাঁদপুরে এই বৃদ্ধা রাস্তা পারাপারের সময় রাজধানী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান।
তিনি বলেন, এরপর এই বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ান। তবে দ্বিতীয়বারে আবার বাসটি তাকে ধাক্কা দিলে তখন তিনি রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। আমরা দৌড় দিয়ে বাসটি ও চালককে আটক করি।
হৃদয় জানান, এর কিছুক্ষণ পরে গুলশান থানার উপপ্রদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। পরে তিনি তাদের মাধ্যমে এই নারীকে ঢামেক হাসপাতালেল জরুরি বিভাগ পাঠান।