আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনো নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। একমাত্র শেখ হাসিনা সেই নেতা, যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। এ দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছেন যিনি তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস…। সি হ্যাজ শো দ্য ওয়ে আউট অফ পোভার্টি।
‘ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবেন তা আমরা হতে দেব না। ষড়যন্ত্র করে ওই নেতাকে বাদ দেবেন? শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। আমরা সেটা হতে দেব না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক। কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনও বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভুত কাণ্ড!’
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা শেষ। আল্টিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়। ক্যাপ্টেন এলে জোরদার খেলা হবে। আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন লাশ। ওই লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।’
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি প্রমুখ।