হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর বারিধারার এভারকেয়ার হাসপাতালে শুক্রবার বিকেল ৫টা ১০মিনিটে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। এর ঘণ্টা তিনেক পর তাকে আবার কেবিনে নেয়া হয়। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সপ্তম তলার কেবিন থেকে চতুর্থ তলার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা কমলে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর তাকে আবার কেবিনে নেয়া হয়।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন- মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন ম্যাডাম।’
এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল। পরে আবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।