বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অবস্থাটা বোঝেন কত খারাপ! সেলফি তুলেও কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কয়েক দিন একটু ফুরফুরে মেজাজে ছিলো। তারপর দেখা যায় আরেকটা আসছে (স্যাংশন)।’
সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমিনবাজার মিরপুর মফিদ ই আম কলেজের নতুন ভবনের মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, ‘এরা যে ভুয়া তা সারা বিশ্ব বুঝে গেছে। নইলে সব প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন, আর আমাদের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সেখানে বসে বসে কী কাজ করছেন? এখনও চেষ্টা চালাচ্ছেন হাতে-পায়ে ধরে কিছু করা যায় কিনা। কিন্তু কোনো কাজ হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বার বার বলা হচ্ছে, ভোট চুরির সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত থাকবেন, এমনকি যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারাও বাদ যাবেন না। তারা বাইরে অনেক সাহসী। ভেতরে কিন্তু ততোটা সাহসী না।
‘ওয়াশিংটনে ও জাতিসংঘে কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বের সব নেতা চলে গেছেন। কিন্তু আমাদের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন। ভেতরে সাহস থাকলে তারা এমনটা করতো না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- পদত্যাগ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অংশীদারত্বমূলক নির্বাচন করতে হবে।
‘দেশে একটি নির্বাচিত সরকার হবে, সংসদ হবে। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি করবে। তার আগে কোনো রক্ষা নেই। এরা এক লাখ কোটি টাকা টাকার বেশি শুধু বিদেশেই পাচার করেছে। সেই টাকার কী হবে?’
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আমির খসরু বলেন, ‘আগামীতে কী করবেন আপনারা? আমাদের নেতা তারেক রহমান পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন। তার কথা মেনে চলবেন। আগামীতে যে কর্মসূচি আসবে, কারও অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। রাজপথ দখল করে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে৷’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার ও কল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, বিএনপির ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমিসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।