বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৈকতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বালু ভাস্কর্য

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৮

সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ঘিরে দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। টানা তিন দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ভিড় এখন কক্সবাজার শহর, সৈকত আর কার্নিভাল ঘিরে।

কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। বালু দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য দুটির উচ্চতা ১৪ মিটার, প্রস্থ ১০ মিটার ও দৈর্ঘ্য ৭ ফুট।

বুধবার এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল আয়োজনের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন এবং ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ভাস্কর্য দুটি ৭ দিন ধরে তৈরি করা হয়।

ইশতিয়াক আহমদ জয় বলেন, ‘কক্সবাজারে যে উৎসব চলছে, তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। এখানে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। বিশ্ব পর্যটন দিবসে পর্যটন মেলা উপভোগ করার জন্য প্রতিবারের চেয়ে এবার লোকজনের ভিড় বাড়ছে। তাদের হৃদয়ে যেন বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ গেঁথে থাকে, সেই উদ্দেশ্যে এই বালু ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা।

‘২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাস্কর্য আরও বেশি পূর্ণতা পেয়েছে।’

ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘পর্যটন মেলাকে আরও বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে এই বালু ভাস্কর্য। ভাস্কর্য দেখতে নানা বয়সের মানুষ আসছে এবং আরও আসবে। বালু ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তারা ইতিহাস জানার চেষ্টা করবে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করবে।

‘সপ্তাহজুড়ে চলমান পর্যটনমেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ ও ছাড় রয়েছে। সারা দেশ থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার এসে বিশ্বের দীর্ঘতম সাগর সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ঘিরে অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। টানা তিন দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ভিড় এখন কক্সবাজার শহর ও কার্নিভালে।

বুধবার শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য এই কার্নিভাল চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমাণ ফ্লাইট টানা ছুটি ও কক্সবাজার শহরে আয়োজিত বিচ কার্নিভালে ঘুরতে আসছেন দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটক। এতে সড়ক পথের পাশাপাশি যাত্রীর চাপ আকাশপথেও। যাত্রীর চাপ সামলাতে বিমানের রেকর্ডসংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্টরা। গেল দুদিনে ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইট নেমেছে ৪৯টি। এটা বিমানবন্দরের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এখানে উঠা-নামা করেছে ২৪টি ফ্লাইট। কক্সবাজার বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তারা জানান, গেল দুদিনে বিমানের ৪৯টি ফ্লাইট উঠা-নামা করেছে, যা এই বিমানবন্দরের জন্য রেকর্ড। হয়তো বিচ কার্নিভাল ও টানা ছুটিতে যাত্রীর চাপ সামলাতেই এতোসংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা হাসান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এই বিমানবন্দরে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজও প্রায় শেষ। তা চালু হলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নত হবে এটি।’

এ বিভাগের আরো খবর