বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচনে যাব: প্রশ্ন বিএনপির

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৩৪

ইতিহাস টেনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচন হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হবে না, এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যদি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না যায়, তাহলে এই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ চলমান এক দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

সমাবেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রথম কমিটিতে আমি ছিলাম শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। সেই কমিটিতে একজন সাবেক বিচারপতি, যদিও তখনও বিচারপতি হননি, ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক। তিনি পরে ১৯৭৯ সালে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ওকালতি শুরু করেন। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবেও তিনি যোগ দেন। তারপর অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে প্রধান বিচারপতি হয়ে ২০০৬ সালে অবসরে যান।

‘১৯৭৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই সময়টাতে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ওই বিচারপতি। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলো- তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

‘২৬ বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’

বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, ‘এজন্যই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনঢ়। আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তাদের (সরকার) ভরাডুবি হবে- এজন্যই তারা বারবার সংবিধানের ধোয়া তুলছে।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে সরকার বিপদে আছে’ দাবি করে বিএনপির নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিপদে আছে যে তারাই (সরকার), এটা বোঝা যায়। বিভিন্ন বক্তৃতায় তারা চাপাবাজি করে। অথচ তাদের ছেলে-মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছে না, ফিরে আসতেছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলতেছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে বলছেন এই সব স্যাংশন, এই সব রেস্ট্রিকশসন আমরা পরোয়া করি না।’

তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। তাই যাদের কারণে আমাদের এই লজ্জা, তাদের আর বহন করার কোনো প্রয়োজন নাই।’

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা জনগণের পক্ষে আছি, জনগণও আমাদের পক্ষে আছে। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ বলতেছে, কেউ বলতেছে না। বাংলাদেশের জনগণ শুধু নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু যারা এখনও রাস্তায় নামছেন না, তাদের বলি— এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। এই সরকারের পতন হবেই হবে।

‘যারা এই সরকার পতনের আন্দোলনে আছেন, তারা স্বৈরাচারের পতন করেছেন বলে গৌরব করবেন। আর যারা আন্দোলনে আসছেন না, তারা এক সময় আক্ষেপ করবেন আর বলবেন— আহা! স্বৈরাচারবিরোধী এই আন্দোলনে থাকতে পারলাম না!’

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘খালেদা জিয়া পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। তিনি জীবনে কখনও পালিয়ে যাননি। চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরে এসে আবারও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।’

এদিকে নির্ধারিত সময় বেলা ২টার আগেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জমায়েতের ফলে গাবতলী বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন ব্যস্ত সড়কের অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। নেতা-কর্মীদের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে বারবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে বলা হলেও তাতে খুব একটা সাড়া দেননি তারা।

ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর