অর্থ পাচার আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত।
জামিন পেলেও তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এ জন্য তার পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন।
অর্থ পাচার আইনে করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জামিন দেয় হাইকোর্ট। এ জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে দুদক।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি চেম্বার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। আমরা সেই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করি।
‘আদালত শুনানি নিয়ে জামিন স্থগিত না করলেও পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছে এবং বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে তার।’
জাকির হোসেনের নামে গত ১৪ মার্চ মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়।
জাকির হোসেনের জমা দেয়া আয়কর নথি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়।
২০২১-২২ আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণসহ ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা রাশ গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকায়।
জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাস এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।