বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাত গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০

  • প্রতিনিধি, নেত্রকোনা   
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫৬

এর আগেও এসব গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ঝগড়া, মারামারি এবং মামলা-মোকদ্দমার ঘটনা ঘটেছে। মিমাংসার জন্য উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং মাতব্বররা একাধিকবার বৈঠক করেও সুরাহা করতে পারেনি।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাত গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে স্থানীয় জনতা বাজারের পাশের কৃষি জমিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নায়েকপুর ইউনিয়নের দুটি পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই দুটি পক্ষের মধ্যে এক পক্ষে রয়েছে নোয়াগাও, পাঁচ আলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই গ্রাম। আর অপর পক্ষে রয়েছে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনা গ্রাম। এর আগেও এসব গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ঝগড়া, মারামারি এবং মামলা-মোকদ্দমার ঘটনা ঘটেছে। মিমাংসার জন্য উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং মাতব্বররা একাধিকবার বৈঠক করেও সুরাহা করতে পারেনি।

বেশ কিছুদিন ধরে জমি দখল, রাস্তাঘাটে ছাত্রীদের উত্যক্তকরণ ও জনতাবাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধ আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষের কয়েক হাজার লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আলমশ্রী গ্রামের হিরণ উদ্দিন, নয়ন মিয়া, নোয়াগাঁও গ্রামের রফিক, গণি মিয়া ও সিয়ামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন আছিরুল, রমজান, মনির হোসেন, পারভেজ, ইনছান, নিজাম উদ্দিন, হারুন, মাছুম আলী, খাইরুল ইসলাম, জয়ফুল, আরশ, মাসুম খাঁ ও সেলিমসহ অন্তত ৪০ জন। এদের কেউ মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কেউ তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, আবার কেউ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হীরা বলেন, ‘আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েরা নোয়াগাঁও আফতাব হোসেন একাডেমিতে পড়ালেখা করে। কিন্তু স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নোয়াগাঁও গ্রামের কিছু বখাটে ছেলে প্রায়ই উত্যক্ত করে। তাছাড়া আমাদের এলাকার অটোচালকরা জনতা বাজারে গেলেও সেখানকার লোকজন বাধা দেয়। হাটবাজার করতে গেলেও তারা নানাভাবে হয়রানি করে। এসববের কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।’

অন্যদিকে নোয়াগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল মিয়া বলেন, আলমশ্রী ও আশপাশের গ্রামের লোকজন জনতা বাজারটি পরিকল্পিতভাবে দখল করার জন্য আক্রমণ শুরু করলে আমাদের এলাকাবাসী তাদের জানমাল রক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। এ কারণেই সংঘর্ষ ঘটে।’

মদন থানার ওসি মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ৫-৬জন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

‘এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর