যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি নই।’
সোমবার দেশের সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
যুক্তরাষ্টের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়ার খবর কীভাবে জেনেছেন জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, ‘কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন।’ তবে কোনো সাংবাদিকের নাম জাননি তিনি।
রাঙ্গার ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়ার খবর সাংবাদিকরা কীভাবে জানলেন- প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছরের ভিসা আছে। তবে আমার এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, সুযোগও নেই। সামনে নির্বাচন। গত ৫ বছরেও আমি দেশটিতে যাইনি।’
‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের নিজস্ব বিষয়’ উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার দেশে যদি কাউকে আসতে না দেই, যদি মনে করি এই লোকগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে তো বলার কিছু নাই। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য ভালো। আমি এটাকে ভালোই বলছি।’
তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভিসা নীতির প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও এসময় জানান তিনি।
গত শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা প্রকাশ করেনি দেশটি।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা রয়েছেন।’
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।