যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে মোটেও বিচলিত নন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনও আমেরিকা যাইনি, যাবও না।’
সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করে বিদায়বেলা তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা (ভিসা নীতি) নিয়ে আমি অতো মাথা ঘামাই না। এটা (বাংলাদেশ) স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটা রাষ্ট্র। একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তখন যারা ভয় দেখিয়েছিল তখন তারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল।’
বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য মামলা আমি বিনা পয়সায় করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমার চেম্বারে এসেছে। আমি তাদের জন্য করেছি। মা-বাবার দোয়া ছিল। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি।’
বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ এবং সুপ্রিমকোর্টে রেকর্ড ভবন সম্পন্ন করে যেতে পারলে আরও ভালো লাগতো বলে উল্লেখ করেন বিদায়ী এই প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘অথরিটি পাওয়ার দুইভাবে ব্যবহার করা যায়। একটা হলো ভোগ করে যাওয়া। আরেকটা হচ্ছে- দেখি চেষ্টা করে, কিছু করা যায় কিনা; বিচার প্রার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কিনা। নিজের বা পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে একবারও তাকাইনি।’
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ এবং সুপ্রিমকোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।