বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদিল-নাসিরের আপিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:১৫

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করা হয় বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। আবেদনে বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জামিনও চাওয়া হয়েছে। 

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই বছরের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করা হয় বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। আবেদনে বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জামিনও চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাইবার ট্রাইব্যুনাল যে সাজা দিয়েছে, সেই সাজা বাতিল চেয়ে আপিল করেছি। আপিলে আমরা খালাস চেয়েছি। অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়েছি, পাশাপাশি জামিনও চেয়েছি। অল্প দিনের মধ্যে আমরা শুনানির উদ্যোগ নেব।

তিনি বলেন, এছাড়া বিচারিক আদালত রায়ে আদিলুর রহমান খানকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যদা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে, সেই আদেশ এখনও কার্যকর করা হয়নি। আপিল আবেদনে সে বিষয়টিও আমরা উল্লেখ করেছি।

১০ বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারার মামলা হয়। সেই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসিরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয় সোমবার।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য-বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয় আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে। এই মামলায় আদিলুর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

১১ আগস্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি কম্পিউটার ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সে বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন।

মামলায় আইসিটি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর