বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাপসের বক্তব্য মহল্লার সন্ত্রাসীদের মতো: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৫

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমেরিকার নিজেদের সুশাসন ও স্বাধীন বিচার বিভাগ নিয়ে তাদের বিপক্ষরাও কখনো প্রশ্ন তোলেনি। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশ সাধন করেছে। সেই দেশের সরকার ইচ্ছা করলেও কারও ন্যায়সঙ্গত সম্পদ, বাড়ি ঘর বা অর্থকড়ি বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘তাপসের বক্তব্য পাড়া মহল্লার সন্ত্রাসীদের মতো। তাদের কথায় মনে হয়, আমরা প্রজা আর তারা জমিদার।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবে দেশে চলছে এক মানবতাহীন অন্ধকার যুগ। দেশকে ফ্যাসিজমের অন্ধকারে নিমজ্জিত করে এক ব্যক্তি, এক দলের দুঃশাসনে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে নামিয়ে আনা হয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে শেখ হাসিনার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের সঙ্গে শেখ হাসিনার পারস্পরিক প্রীতির সম্পর্ক।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, ভিন্ন মত, বিরোধী কন্ঠস্বর এখন শেখ হাসিনার শত্রুপক্ষ বলেই অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসকদের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মাখামাখি। তাই আওয়ামী লীগের মতো একটি দল তাদের অধীনে এমন কোনো নির্বাচন হতে দেবে না, যেখানে তাদের পরাজয় হয়। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র পূর্বশর্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ছেলের সম্পদের কথা স্বীকার করলেন। তাহলে বাজেয়াপ্ত সম্পদ ও অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করলে জনগণ বুঝতে পারতো আসল ঘটনাটা কী।’

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমেরিকার নিজেদের সুশাসন ও স্বাধীন বিচার বিভাগ নিয়ে তাদের বিপক্ষরাও কখনো প্রশ্ন তোলেনি। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশ সাধন করেছে। সেই দেশের সরকার ইচ্ছা করলেও কারও ন্যায়সঙ্গত সম্পদ, বাড়ি ঘর বা অর্থকড়ি বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।

‘শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ দেশের লক্ষ কোটি টাকা পাচারের আরও অনেক লুকায়িত ঘটনার আভাস পাওয়া যায়। যাদের আমলে সরকারি ট্রেজারি থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়, সেই দেশের লুটেরা গোষ্ঠী ক্ষমতাকে গায়ের জোরো আঁকড়ে ধরে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।’

এ বিভাগের আরো খবর