বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পার ৭ জন মৌখিকে এসে ধরা

  • প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫০

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো যে, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যারা দিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কের খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে অংশ নিয়ে পার পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় এসেছেন ধরা পড়েছেন ৭ পরীক্ষার্থী।

রোববার মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শনিবার তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রক্সি দেন অন্য শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার সকালে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।

সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন।

পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো যে, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যারা দিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কের খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলাসহ আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর