বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে বিদেশ পাঠাতে এবার আব্বাসের ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫৭

এর আগে একই দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয়াপল্টনে দরীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার বিকেলে ওই আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে এবার ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি দোয়া মাহফিলে সোমবার সকালে এই আলটিমেটাম দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি আবারও অনুরোধ জানাবো, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা চলে গেছে। আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। তার (খালেদা জিয়া) কিছু হলে এর পরিণতি শুভ হবে না।’

এর আগে একই দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয়াপল্টনে দরীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার বিকেলে ওই আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’

সোমবার মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটা কথা আমি আবারও বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখবো না। আমি দুঃখিত, আমি একটু বোধহয় আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছি। আমরা বুঝতে পারিনি, যেদিন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত চলছে। এই গ্রেপ্তার ছিল তাকে হত্যা করার জন্যে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আসলে উনাকে গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে- এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্যকর করছে। আর না হলে কীভাবে অমানুষের মতো, অমানবিকতার মতো বলেন- খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই, আইনের জটিলতা আছে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইন-টাইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন হয়, তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার, সেটা করা দরকার। এটা হলো মানবিক আইন। আন্তর্জাতিক জেনেভা কনভেনশনের একটা আইন আছে- সেই আইনে উনি চিকিৎসা পেতে পারেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।

‘আমরা আশা করছি সরকার এই সুযোগটা নেবে। দেশনেত্রীকে বিদেশে তারা পাঠিয়েছেন- এই সুযোগটা তারা নিতে পারেন।’

কারাবন্দি নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘রোববার আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। আজকে দেখলাম ওনারা (সরকার) বলছেন, আইনের জটিলতা আছে। আমি আজ স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জিয়াউর রহমানের সময়ে আ স ম আবদুর রবকে জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে রাশেদ খান মেননকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন, তার লিভার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল, তাকে সুস্থ করেছিলেন। আজ তিনি (মেনন) আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।’

আব্বাস বলেন, ‘হাজী সেলিম ব্যাংকক গেলেন, চিকিৎসা করে ফেরত এলেন। তিনি বাইরে আছেন, এখন সহি-সালামতে আছেন। ম খা আলমগীর (মহিউদ্দিন খান আলমগীর) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বাইরে ঘোরারাফেরা করছেন, মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। অথচ আমার নেত্রী কোনো অপরাধ করেননি, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর