বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়ণের ঘরসহ কয়েক শ বাড়ি লন্ডভন্ড

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:৫১

বিরামপুরের ইউএনও নুজহাত তাসনীম বলেন, ‘দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটি বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু এলাকার গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এক ব্যান্ডেল টিন এবং নগদ অর্থ দেয়া হবে।’

দিনাজপুরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি উপজেলার শতাধিক বাড়ির টিন উড়ে গেছে। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছেন ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রোববার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আশ্রয়ণের ঘরসহ এ বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বিরামপুরের দিওড় এলাকার বাঁশবাড়িয়া আশ্রয়ণের বাড়িসহ ২৮টি বাড়ি, নবাবগঞ্জের বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিক বাড়ি এবং হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন এবং নগদ অর্থ সহায়তার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য এমপি শিবলী সাদিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

সরেজমিনে বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে জানা যায়, দুপুরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ে সেখানকার চারটি আশ্রয়ণের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। কিছু ঘরের সামনের বারান্দার অংশগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত টিনগুলো কুড়িয়ে জমা করছেন।

ওই আশ্রয়ণের ঘরে থাকা মমতা বেগম বলেন, ‘বিরামপুর এলাকায় কয়েক দিন থেকেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে বসে আছি। হঠাৎ করে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়।

‘ঝড়ে আমার ঘরের ওপরের টিনগুলো উড়ে যায়। বারান্দার টিনগুলো উড়ে পাশের ঘরে উপড়ে পড়ে যায়। একপর্যায়ে আমি ঘরে থাকা চকির নিচে শুয়ে পড়ি।’

সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। পরিবারের কয়েকজন একসাথে ঘরের ভেতর ছিলাম। হঠাৎ বাইরে ঝড় শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ঘরের চালগুলো উড়ে যায়। টিনগুলো এলোমেলোভাবে উড়তে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনিতেই অসহায়। আমাদের আর কিছু থাকল না। কী খাব, কোথায় ঘুমাব, এটা আমরা জানি না। শুনতেছি আমাদের নাকি সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।’

বিরামপুরের ইউএনও নুজহাত তাসনীম বলেন, ‘দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটি বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু এলাকার গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এক ব্যান্ডেল টিন এবং নগদ অর্থ দেয়া হবে।’

সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিক বলেন,‘আমার সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে অনেক বাড়িঘর, গাছপালা এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

‘পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও তাদের সহযোগিতা করব। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে বলেছি, তারা যেন ওই পরিবারগুলোর পাশে থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর