আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না তার দল। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটা দৃঢ় অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।’
শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই যারা নির্বাচনে বাধা ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমরা ভিসানীতি নিয়ে পরোয়া করি না। অবাধ শান্তিপূর্ন নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ করব। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু না আসলে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিএনপির ইচ্ছেতে নির্বাচন আটকাবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।’
এসময় গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপির নির্বাচন হতে দেবে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায়, করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বিরোধীরা যেকোনো ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘তারা কেন দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।’
‘অক্টোবরে বিএনপির মরণ কামড়’ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মরণ কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’