বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনাজপুরে ‘মায়ের কান্না’র উদ্যোগে আলোচনা সভা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৩৪

আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবি-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

দিনাজপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলুণ্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, ইকবালুর রহিম এমপি ও মাননীয় হুইপ, দিনাজপুর-৩, একুশের পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, জনাব ফুয়াদ হাসান, সিইও, দীপ্ত টিভি, জনাব আলতুফুজ্জামান মিতা ,সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ, দিনাজপুর সহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও জেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবি-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে।’

অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে ‘খুনি জেনারেল’ জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তারা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা?’

তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় ‘গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।’

‘ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচার’-এর দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী। এছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

‘গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল’ যাতে করে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে আগত ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান এক হাজার ১৫৬ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করে। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানাই।’

তারা আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর