বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে সেই শিক্ষক

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৮

বিয়ের ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল বলেন, ‘আপাতত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করছি। তাই এখনও কাউকে বলা হয়নি। তবে বিয়েতে হেড স্যারকে অবশ্যই নিমন্ত্রণ করা হবে।’

অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল। অবিবাহিত থাকায় প্রধান শিক্ষকের চাপে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল রনি প্রতাপের।

কালিহাতী উপজেলার মগড়া গ্রামের সত্য পালের মেয়ে স্বর্ণা পালের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন রনি প্রতাপ। স্বর্ণা অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

শুক্রবার তাদের আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে বলে জানান রনি।

এর আগে বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা কার্যক্রম, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়ালেখা করায় তার বিয়ের জন্য চাপাচাপির খবর প্রকাশ করে নিউজবাংলা। সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাকে বারবার বিয়ের তাগিদ দিতে থাকেন। সেসময় তার অভিমত ছিল, বিদ্যালয়ে একমাত্র অবিবাহিত শিক্ষক রনি প্রতাপ। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতেই তিনি রনিকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছেন।

কিন্তু তার কথা মেনে দ্রুত বিয়ে না করায় পরে লিখিত নোটিশও দেয়া হয় ওই সহকারী শিক্ষককে।

নোটিশে বলা হয়, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে পাক্কা নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

নোটিশটি পাওয়ার দুদিন পর প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাবও দেন সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ। জবাবে তিনি লেখেন, ‘আমার অভিভাবকরা আমার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করেন না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকরা আমাকে বিবাহ করাবেন বলে জানিয়েছেন।’

এ নিয়ে সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

অবশ্য বিয়ের ব্যাপারটি কোনো চাপে নয়, বরং নিজের ও পরিবারের পছন্দেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রনি প্রতাপ। তিনি বলেন, ‘আপাতত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করছি। তাই এখনও কাউকে বলা হয়নি। তবে বিয়েতে হেড স্যারকে অবশ্যই নিমন্ত্রণ করা হবে।’

তবে রনির বিয়ের বিষয়টি এখনও প্রধান শিক্ষকের কানে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন রনি প্রতাপ পাল। গত ২৬ জুলাই তাকে নোটিশ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নিয়মবহির্ভূত বিয়ের নোটিশ দেয়ায় ও আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি তদন্ত চলমান রয়েছে। তাছাড়া, প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষকরা, এমনকি স্থানীয়রাও এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর