অন্যের বাড়িতে কাজের উছিলায় চুরি, তারপর চুরি করা মালামাল বিক্রির টাকায় ভ্রমণে বের হন মা-মেয়ে। তবে তাদের আনন্দের ভ্রমণে বিষাদ নিয়ে এসেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় চার মাস পর তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুরে মামা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন ২০ বছর বয়সী সায়মা। পরে তার দেয়া তথ্যে লক্ষীপুরের কোনারবাড়ি থেকে মা আছমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার বিষয়টি করেন মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চুরি করা স্বর্ণ, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মহসিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মিরপুরের বসতি হাউজিংয়ের একটি বাসায় কাজ করতেন সায়মা। গত ২৫ মে ওই বাসা থেকে স্বর্ণ ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় চার লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। চুরি করা স্বর্ণ তিনি ঢাকা ও কিশোরগঞ্জের তিনটি দোকানে বিক্রি করেন। স্বর্ণ বিক্রির টাকা দিয়ে গত তিন মাস মাকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান তিনি।
‘চুরির কিছু টাকা দিয়ে খালাকে বাড়িও করে দেন সায়মা। এরপর মা-মেয়ে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘চুরির ঘটনায় মামলা হলে তখন থেকেই সায়মাকে ধরার চেষ্টায় ছিল পুলিশ। ২১ সেপ্টম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবশেষে সায়মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে একটি স্বর্ণের হার, চুরি করা স্বর্ণ বিক্রির ৫৯ হাজার টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’
আসামিদের আদালতে নিয়ে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।