দুই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। তাদের অনেকে বিভিন্ন কাজে উপস্থিত হন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে।
বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, চিকিৎসা সহায়তাসহ সরকারি বিভিন্ন সহায়তা আবেদন করার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই উপজেলার অনেক মানুষের ভিড় করেন সমাজসেবা কার্যালয়ে, কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল, ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে মাঝেমধ্যেই।
যেকোনো সময়ই রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এ ঝুঁকি নিয়েই কর্মকর্তরা রোজ আসছেন কার্যালয়ের ভবনে, সেবাগ্রহীতারাও সেবা নিতে আসছেন প্রতিদিন।
নাচোল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নাজুক হয়ে পড়েছে ভবনটি।
সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি যেখানটায় বসেন, সেখানে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছিল কিছুদিন আগে। অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন সেদিন। পরে তার বসার টেবিল ও চেয়ার কিছুটা সরিয়ে নিয়ে বসছেন ঠিকই, তবুও সব সময়ই ভয় কাজ করে তার।
ইউনিয়ন সমাজকর্মী সুকাম আলী যেখানে বসেন, সেই কক্ষটির অবস্থাও কম বাজে নয়। দেয়ালের প্লাস্টার ফেটে গেছে; খসে খসে পড়ছে।
সমাজসেবা কার্যলয়ের অফিস ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন উল্লেখ করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। ঝুঁকি নিয়েই আমরা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
‘কাজের চাপে কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের ঝুঁকির বিষয়টি জানানো হয়ে ওঠেনি এখনও। দ্রুতই সমস্যাগুলো উল্লেখ করে, নতুন ভবন নির্মাণ অথবা এই ভবনের সংস্কার করার আবেদন পাঠাব আমি।’
এ বিষয়ে সমাজসেবা কার্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম বলেন, ‘নাচোলের ভবনের সমস্যার বিষয়টি আমি কথা বলে দেখব, জানব কী অবস্থা। যদি একেবারেই ওই ভবনে কার্যক্রম চালানো না যায়, তবে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠতে হবে।’
এদিকে সমাজসেবা কার্যালয়ে যারা সেবা নিতে আসেন, তারা অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন। তার ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সেবা গ্রহণের সময় সারাক্ষণ থাকেন ভয়ে।
মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এত ঝুঁকি নিয়ে অফিসারই কীভাবে অফিস করছেন, ভাবতেও ভয় লাগে।’