রোডমার্চ বিএনপির নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়তো ক’দিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেয়া কিংবা নতুন প্লাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কিছুদিন পরপর নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নাই। ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন গণমিছিল কর্মসূচি এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গণের জন্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের জন্য বিরাট অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তার মতো এ রকম গুণী নির্মাতা একদিনে তৈরি হয়নি।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার ছিলেন। তার প্রথম ছবি ঘুড্ডি, যা দেশে সাড়া ফেলেছিল। সেই সিনেমার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনো দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সালাহউদ্দীন জাকী একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার চলনে, বলনে কোনো বাহুল্য ছিল না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে কখনো দেখিনি। তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে সে জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।’
এদিন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর মনোনীত কর্মচারিদের হাতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।