সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদ্রাসার আবাসিক এক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার মুহতামিমকে গ্রেপ্তার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। বারুহাঁস ইউনিয়নের বারুহাঁস গ্রামের দারুল উলুম খাদিজাতুল কুবরা হাফিজিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসায় এ যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ৪১ বছর বয়সী মো. জিয়াউর রহমান নামের ওই মুহতামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরে আলম নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, প্রায় সপ্তাহখানেক আগে ওই মাদ্রাসার হেফজখানার এক আবাসিক ছাত্রীকে গভীর রাতে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে আসেন মাদ্রাসার মুহতামিম জিয়াউর রহমান। পরে কৌশলে প্রায় ৩ ঘণ্টা অফিস কক্ষে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। বিষয়টি তিনি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও পরে তা মাদ্রাসার ভেতর জানাজানি হয়ে যায়।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। পরে বুধবার ওই মুহতামিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে বুধবার বিকেলে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম বলেন, ‘বর্তমানে যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর অভিভাবকরা থানায় অবস্থান করছেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’