বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এডিসি হারুনকাণ্ডে সব পক্ষেরই দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৫৯

জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধরক মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্তে সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ও ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে।

তদন্ত কমিটি সূত্র বলছে, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এডিসি হারুন ও সানজিদা, এপিএস আজিজুল হক মামুন, ছাত্রলীগের চার নেতা, শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ যাদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন কমিশনার বরাবর মঙ্গলবার জমা দেবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশনার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সেটা তিনি করবেন। অথবা প্রয়োজন পড়লে বিষয়টি আইজিপির কাছে পাঠাবেন।

তিন সদস্যদের এই তদন্ত কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অন্য দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

কমিটিকে প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে তদন্ত শেষ না করতে পারায় আরও পাঁচ দিন সময় বাড়ানো হয়। সোমবার এই পাঁচ দিন শেষ হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এডিসি হারুন গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নারী পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে যান। ওই সময় সানজিদার স্বামী এপিএস মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতাও। এক পর্যায়ে এডিসি হারুন পুলিশ এনে তাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।

ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। এডিসি হারুনকেও করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। তবে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা পুরো ঘটনার দায় দিয়েছেন তার স্বামী মামুনকে। তিনি বলেছেন, তার স্বামীই প্রথমে হামলা চালান।

এ বিভাগের আরো খবর