বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বদলগাছী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারাগারে

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:৪৯

মামলার বাদী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মুহাম্মদ হাতেম আলী বলেন, ‘সামসুল আলমের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। আমার পাওনা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা করি। সেই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জেনেছি।’

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম খানকে গ্রেপ্তার শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেক ডিজঅনার (এনআই) অ্যাক্টের মামলায় সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তাকে প্রেপ্তার করে পুলিশ।

বদলগাছী থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, সামসুল আলম খানকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে আদালতে নেয়া হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

মামলার বাদী ও বিবাদীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের দিকে সামসুল আলম খান উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে হতদরিদ্র, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে সহায়ক চাঁদার বিনিময়ে নলকূপ ও স্যানিটেশন (হাইসাওয়া-এসডিসি) প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পটি মানব কল্যাণ সংস্থা নামে তার এনজিওর মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলার ৯৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে চুক্তি করে নিজ নামীয় চেক হস্তান্তর করেন।

পরবর্তীতে মানবকল্যাণ সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকল্পের নামে অবৈধভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ এনে মামলা করেন নওগাঁ-৩ আসনের (বদলগাছী-মহাদেবপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মায়া চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে গেলে ৮ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মুহাম্মদ হাতেম আলী ২০১৬ সালে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত থেকে পরোয়ানা জারি করা হলে সামসুল আলম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলম খানের ছোট ভাই বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, ‘এই মামলায় নিম্ন আদালত আমার ভাইয়ের পক্ষে রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলে আমার ভাইয়ের কাছে নোটিশ আসে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য।

‘পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তিনি সঠিক সময়ে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আশা করছি আইনি লড়াইয়ে আমরাই জয়ী হবো।’

মামলার বাদী সরদার মুহাম্মদ হাতেম আলী বলেন, ‘সামসুল আলমের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। পরে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা করি। সেই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জেনেছি।’

বদলগাছী থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, ’১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলম খানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নোটিশ থানায় আসে। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে সদর মডেল থানার সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর