আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কুমিল্লার মেঘনায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম সরকারকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই সময় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ছোট ব্রিজ এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিজাম সরকারের ভাতিজা কবীর হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমার চাচা নিজাম সরকারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে সোমবার সকালে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল কাইয়ুমের গুলিতে কাকা নিজাম সরকার নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে কয়েকজন নিজাম সরকারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।’
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন ৩০ বছর বয়সী টিটু, ৩৫ বছর বয়সী রমজান, ২৮ বছর বয়সী ইব্রাহীম, ২২ বছর বয়সী শাকিল, ১৯ বছর বয়সী খালেদ হাসান, ৩২ বছর বয়সী দেলোয়ার, ২৫ বছর বয়সী আনিছ সরকার, ২৪ বছর বয়সী সুমন, ৪৫ বছর বয়সী হানিফ ও ৩৫ বছর বয়সী ওয়াসিম।
মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল কাইয়ুম ও চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জেরে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম সোমবার সকালে লোকজন নিয়ে হামলা চালান।
তিনি আরও জানান, দুই পক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সংঘর্ষে নিহত নিজাম সরকার ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীরের ভাই।
মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। কেন এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’