বিএনপির রোডমার্চে যাওয়ার পথে নাটোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার ডাল সড়ক, তেবাড়িয়া ও সৈয়দ মোড় এলাকায় এসব হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা এই হামলা ও আগুন দিয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় তাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করেছে। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব দেওয়ান শাহীন বলেন, বিএনপির উদ্যোগে চলমান তারুণ্যের রোডমার্চ সফল করার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা গাড়িযোগে রওনা হন। এ সময় সদরের ডাল সড়ক এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বহন করা একটি হাইয়েস গাড়ি থামিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে। হামলাকারীরা এ সময় মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
‘এছাড়াও সৈয়দ মোড় ও তেবাড়িয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বহন করা আরও দুটি গাড়ি ভাংচুর এবং নেতাকর্মীদের পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের এসব হামলায় ১৩ জন নেতাকমী আহত হয়েছেন।’
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি তারা তাদের মতো করে পালন করছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি ডাল সড়ক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেটা গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার ফেটেও হতে পারে। অথবা বিএনপির লোকজনই নিজেরা নিজেদের গাড়ি পুড়িয়ে দিতে পারে, ভাংচুর করতে পারে।
‘বিএনপির এসব রোডমার্চ, মিছিল-মিটিং, হরতাল কর্মসূচিতে জনগণ অংশগ্রহণ করে না। সে কারণে দলটির পক্ষ থেকে দেশে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে তারা আওয়ামী লীগকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।’
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, গাড়িতে আগুন ধরার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে গাড়িতে কিভাবে আগুন ধরেছে বা গাড়িতে কারা ছিল তা তিনি জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।