বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁকা হওয়া রোধে রেললাইনে ঢালা হচ্ছে পানি

  • প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার   
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৯

খরতাপে রেলপথ বাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দু’দিন ধরে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের গ্যাংম্যানরা কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় রেলপথের বেশ কিছু স্থানে পানি ঢেলে লাইন ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। ট্রেন চলছে খুবই ধীরগতিতে।

প্রচণ্ড খরতাপে বাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আখাউড়া-সিলেট রেলপথে দিনের বেলা পানি ঢালা হচ্ছে। বিশেষত টিলাগাঁও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় গ্যাংম্যানরা নির্দিষ্ট সময় পর পর রেলপথে পানি ঢালছেন।

পানি ঢেলে রেলপথ ঠাণ্ডা করে দিনের বেলা ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চলাচল করা হচ্ছে। এর ফলে দিনের বেলা সিলেট রেলপথে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

ভাদ্র শেষে আশ্বিস মাস শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সূর্যের তাপের প্রখরতা যেন বাড়ছেই। কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড খরতাপ বইছে। ‌এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

চলমান খরতাপে রেলপথ বাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দু’দিন ধরে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের গ্যাংম্যানরা কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় রেলপথের বেশ কিছু স্থানে পানি ঢেলে লাইন ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। কেননা খরতাপে রেলপথ উত্তপ্ত হয়ে বেঁকে গেলে যেকোনা সময় ঘটে যেতে পারে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা।

আর রেলপথ ঠাণ্ডা রাখতে পানি ঢালায় সিলেট রুটে দিনের বেলা মৌলভীবাজারের এই অংশে ট্রেন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। ফলে ট্রেন চলাচলের সিডিউলও ঠিক থাকছে না। এই পথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোকে মাঝপথে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।

সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুঝাত রহমান রোববার মোবাইল ফোনে এই প্রতিনিধিকে জানান, তিনি সিলেট অভিমুখী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। ট্রেনটি বেলা আড়াইটায় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মনু রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের আগে মাঝপথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। সেখানে ১৫ মিনিট থেমে থাকার পর ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় গত দু’দিন ধরে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার উত্তম দেব বলেন, ‘দিনের বেলা খরতাপে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ এলাকায় পানি ঢেলে লাইন ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করছে। এ কারণে ট্রেনগুলোকে মাঝপথে কিছুটা সময়ের জন্য থামতে হচ্ছে। পরে খুবই ধীরগতিতে ট্রেন চলছে। রাতের বেলা আবার ট্রেনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রচণ্ড তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী একটি ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম সে সময় জানান, প্রচণ্ড গরমে লাইন বেঁকে যাওয়ায় ঢাকামুখী মালবাহী ট্রেনটির বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর