লালমনিরহাটে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনকে ঘিরে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। গত এক সপ্তাহে জেলা জাতীয় পার্টির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একদিকে সম্মেলনকে ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব, অন্যদিকে একের পর এক চলছে গণ পদত্যাগ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন না করা, সরকারি প্রজেক্ট বরাদ্দে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিবের একক আধিপত্যে নেতা-কর্মীরা তার প্রতি নাখোশ। এ কারণেই সম্মেলনের আগে তারা পদত্যাগ করছেন।
নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের গণ পদত্যাগ ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের।
সম্প্রতি পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর উপজেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম রাজু, পৌর সভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র রায়, একই ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলাম ও একই ওয়ার্ডের ৩৫ জনসহ মোট অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগ করা পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখানে নেতা-কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। তাছাড়া দলের সদস্য সচিবের একক আধিপত্য বিস্তারের কারনো কোনো নেতা-কর্মী দাম পায় না। তিনি যা করবেন তাই। আমাদের কথার কোনো মূল্যায়ন নাই। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পদত্যাগকৃত নেতা-কর্মীদের ধারণা, তাদের মতো আরও বহু নেতা-কর্মী দল থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে এমনটি মনে করেন না পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা পদত্যাগ করছে তারা কোনো পদে নেই। ফলে তাদের পদত্যাগ দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
শনিবার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এতে আরো উপস্থিত থাকবেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী এবং মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু। সম্মেলনে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমর্থকদের সমাগম ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি- কেন তারা পদত্যাগ করছে। আশা করি, এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’