রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতালে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, সানজিদা আফরিন নিপা এবং তার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনকে ঘিরে যে কাণ্ড ঘটেছে, তার দায়ভার এপিএস মামুনের ওপরও যায় কি না, সে বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও স্টোরেজ ডিপোর নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। আইন অমান্যকারী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ যেই-ই হোক না কেন, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। ঘটনা ঘটার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো দুর্বলতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা না হলেও মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সব ঘটনারই তদন্ত করা হবে।’
খুব দ্রুত তেজগাঁও থেকে ট্রাক স্টেশন সরিয়ে ফেলা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক ট্রাক স্ট্যান্ড করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মেয়রকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এডিসি হারুন গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নারী পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে যান। ওই সময় সানজিদার স্বামী এপিএস মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।
ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতাও। এক পর্যায়ে এডিসি হারুন পুলিশ এনে তাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।
ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে ডিএমপি। এডিসি হারুনকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। তবে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা পুরো ঘটনার দায় দিয়েছেন তার স্বামী মামুনকে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই এমন মন্তব্য ঠিক হয়নি।