রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনে ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সেলিম রেজা বলেন, ‘অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। আমাদের বরাদ্দ দেয়া দোকান ছিল ৩১৭টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা যেই তথ্য পেয়েছি ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ফায়ার সার্ভিসও বলেছে ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেটের ব্যবসায়ী যারা আছেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা তাদের তালিকা করছি। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসবেন। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়াব। আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। যতটুকু সম্ভব ডিএনসিসির পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’
সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা মার্কেটটিতে আগুন নেভানোর যন্ত্র ছিল না। অবৈধ দোকান ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের কী ভূমিকা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। আমাদের বরাদ্দ দেয়া দোকান ছিল ৩১৭টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা যেই তথ্য পেয়েছি, ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ফায়ার সার্ভিসও বলেছে ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
‘এখানে বাজার সমিতি আছে। তাদেরকে আমরা এই কাজগুলো করার জন্য আমরা বারবার নির্দেশনা দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। এই কাজগুলো না করার কারণেই আমরা এখন এর ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছি।’
মালিক সমিতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়ী কি না, এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্ত করে জানা যাবে কারা দায়ী ছিল। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’
রাজধানীতে নয়টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুটি মার্কেট রয়েছে, যেখানে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এই মার্কেটটিতেও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এই মার্কেটটি কেন তাহলে তালিকায় আসল না, এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম রেজা বলেন, ‘যেই কমিটি তখন কাজ করেছে, সে সময় এই মার্কেটটি তখন তালিকায় ঢোকেনি। উত্তর সিটি করপোরেশনের আটটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ভবন ও যেই মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেটকে আমরা বলে দিয়েছি ১৫ দিন বা ১ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে। কোনো বাধা, কোনো কিছুর মুখেই আমরা আর থামব না। এই ভবনগুলোতে ব্যবসায়ী এবং বসবাসকারী যারাই থাকুন, তাদের সেখান থেকে বের করে দিয়ে ভবনগুলোকে সিলগালা করে দিতে হবে।
‘দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভবনগুলোকে ফাঁকা করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে দিয়েছি। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা করব। তারপর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আমরা মানবিক সহায়তা করার চেষ্টা করব। আমরা এখনই মাঠে আছি। এটিই হলো আমাদের প্রথম উদ্যোগ।’