বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কাজ চলছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৪

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আরও একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব সমীচীন হবে না। তবে বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের কাজ অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আরও একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব সমীচীন হবে না। তবে বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের কাজ অব্যাহত থাকবে।

জাতীয় সংসদে বুধবার সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ নেত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কয়েকজন শহীদ পরিবারের সদস্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যা নিয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তি-সংগঠনও বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক দেশ নিজ নিজ দেশের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানায়। পরে আলোচনার মাধ্যমে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। যেহেতু ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে সেহেতু একই বিষয়ে আরও একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব সমীচীন হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় পৃথিবীতে সংঘটিত অন্য যেকোনো গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় প্রক্রিয়ার মতোই জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে বন্ধুরাষ্ট্রসহ গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বীকৃতি আদায় এবং বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদানের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় সহজ হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সরকার দলীয় সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সরকার তা নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কোভিড অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বে খাদ্যপণ্যসহ সব ক্ষেত্রে জোগান ব্যবস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিনিয়ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

‘কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষি ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উপকরণ এবং নীতি সহায়তার ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে।’

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ২৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪১টি কোম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। বিভিন্ন জোনে ৫০টি শিল্প নির্মাণাধীন। এসব শিল্প থেকে এ পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদন হয়েছে এবং ২৯১ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি রয়েছে। এই শিল্পগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’

জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে ৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ১২ হাজার ৪৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন এবং এক লাখ ২৩ হাজার ২৫৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এক হাজার ১৩১টি সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৫৭৪ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ৪ হাজার ৬৩৪ কিমি মহাসড়ক উন্নয়ন এবং ৬৪ হাজার ৮৪৪ মিটার দৈর্ঘ্যের ৭৫০টি সেতু নির্মাণ কাজ চলমান।’

সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ৫৫ লাখ ৬১৭টি পরিবার অর্থাৎ প্রায় ২৮ লাখ মানুষকে ঘর প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট। ১১ হাজার ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। ২০২৩ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে এগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

‘২ হাজার ৪২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণাধীন। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি চালু হবে বলে আশা করা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর