এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা প্রজননস্থল সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে এমন তথ্য দিলে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাবে সিটি করপোরেশনের মশককর্মী। তারা তাৎক্ষণিক এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওয়ারীতে ফকির চান কমিউনিটি সেন্টারে ‘৪১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উন্নয়ন উৎসব’-এ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘আমার যে অঙ্গীকার এবং প্রতিশ্রুতি, আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি- যদি আপনারা তথ্য দেন, স্টপ ওয়াচে ১৫ মিনিট সময় নেবেন, ইনশাআল্লাহ আমার মশককর্মী সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে যাবে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিদিনের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখেছি যে, দেশে এখন দৈনিক প্রায় তিন হাজার রোগী হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গত সাত দিনে গড়ে পঞ্চাশের উপরে রোগী পাওয়া যায়নি।
‘গতকাল আমরা রোগী পেয়েছি ৫২ জন। তার আগেরদিন পেয়েছি ৫৪ জন। তার আগেরদিন সংখ্যাটি ছিল ৪৮।
‘আমরা কাজ করে চলেছি বলেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তা পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের সামগ্রিক ও ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা ছাড়া আমরা পূর্ণরূপে এডিস মশা নির্মূল করতে পারব না।’
মেয়র বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি এলাকায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে আজ (বুধবার) পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। প্রতিটি রোগীর ঠিকানা নিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন রোগীও বলতে পারবে না যে তার ঠিকানা পাওয়া সত্ত্বেও আমরা কোনো কার্যক্রম বা উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।’
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সেটির ফোন নাম্বার হলো ০১৭০৯৯০০৮৮৮।