বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেহানার যে চিঠি বঙ্গবন্ধু ও রাসেলের হাতে পৌঁছেনি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:২৭

বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানিতে পৌঁছার পর ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বাবা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন শেখ রেহানা। পরদিন ১৫ আগস্ট ঘটে যায় ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যার সেই চিঠি আর কোনোদিনই গন্তব্যে পৌঁছেনি।

শেখ রেহানা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানিতে পৌঁছার পর ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট তিনি বাবা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

পরদিন ১৫ আগস্ট ঘটে যায় ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। জার্মানিতে অবস্থান করার সুবাদে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। সূত্র: বাসস

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০২১ সালে শেখ রেহানার জন্মদিন উপলক্ষে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করেছিল। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর থেকে যে শোক ও দুঃখ লালন করছিলেন তা প্রকাশ করেছেন।

শেখ রেহানা ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাৎকারে বেদনাদায়ক এই স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।

কীভাবে ভ্রমণ করছেন এবং কীভাবে সেখানে তাদের দিন কাটছে সেসব ওই চিঠিতে বর্ণনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা।

শেখ রেহানার ১০ বছর বয়সী ভাই শেখ রাসেল সাধারণত ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম নিতে চাইতো না। তাই তিনি চিঠিতে আদরের ছোট ভাইকে তার স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার অনুরোধ করেছিলেন এবং জার্মানির প্রকৃতি কতটা মনোরম ও সুন্দর তা বর্ণনা করেছিলেন।

চিঠির সঙ্গে তিনি কয়েকটি কার্ডও সংযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু যাদের উদ্দেশে তিনি চিঠিটি লিখেছিলেন তারা ওই চিঠি কোনোদিনও দেখতে পাননি। চিঠিটি কখনোই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়নি।

কারণ চিঠিটি পৌঁছানোর আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার প্রায় পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

এমনকি হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি কালো আইন জারি করায় দেশের রাজনৈতিক গতিপথকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেয়া এবং রাষ্ট্রকে পাকিস্তানি আদর্শের দিকে ঠেলে দেয়ায় নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের বিচারও তারা চাইতে পারেননি।

ওই সাক্ষাৎকারে রেহানা বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ১৫ আগস্ট ওরা আমার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার বাবা, মা, ভাইদের হারিয়েছি। আমি কিসের জন্য বাঁচব? রাসেলের কী দোষ ছিল? সে তো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। আমার মা-ও ছিলেন না। কেন ওরা তাদের মেরে ফেলল? আমি এতিম। আমি অসহায়।

‘একজন কন্যা হিসেবে, একজন বাঙালি হিসেবে, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করছি। আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

রেহানা আরও বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ফুলের নিচের সাপের মতো স্থানীয় দালালরাও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দেশের নেতাদের মধ্যে যে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল, তা আশানুরূপভাবে হয়নি।’

যে খুনিরা দর্পের সঙ্গে তাদের কাজ শেষের ঘোষণা করেছিল, তাদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে ইতিহাসের গৌরবজনক অধ্যায়ে নেমে এসেছিল সকরুণ নিস্তব্ধতা।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর