বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মূল ফটকের সামনে (ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উল্টো পাশে) এই ঘটনা ঘটে।
আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটায় অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী আইনজীবী রয়েছেন। আহত বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে পুলিশ বলছে, কোতোয়ালি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত সেরনিয়াবাতসহ ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে। মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে আইনজীবীরা সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর পুলিশ প্রধান ফটক খুলে দেয়।
আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তারা ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আইনজীবী নেতারা সমাপনী বক্তব্য দেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে আজ পুলিশ বাহিনী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
‘এই হামলা শুধু আইনজীবীদের ওপর নয়; আইনের শাসন, মানবাধিকারের ওপর হামলা। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আইনজীবীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যতদিন পর্যন্ত সরকারের পতন না হবে ততদিন তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আইনজীবীরা সাধারণত আদালতের ভেতরে কর্মসূচি পালন করেন। তারা আজ আদালতের বাইরে এসে কর্মসূচি পালন করেছেন।
‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তারা অতিউৎসাহী হয়ে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কোতোয়ালি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত সেরনিয়াবাতসহ আমাদের ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’