কুমিল্লার চান্দিনায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই পথচারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার হারিখোলা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো তিনজন হলেন চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী আলমগীর হোসেন, হারিখোলা বেদে পল্লির ৬০ বছর বয়সী বাহরাম মিয়া, দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামের ৪০ বছর বয়সী আবুল কালাম।
আহতরা হলেন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার বাসযাত্রী মিল্লাত, নওগাঁ জেলার আরিফুল ইসলাম, ঢাকার মগবাজার এলাকার সাবিনা ও তার মেয়ে তানহা। অন্য ছয়জনের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী একটি বাস হারিখোলা মাজার এলাকায় পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে মহাসড়কে আছড়ে পড়ে। ওই সময় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারী চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহীসহ ১০ বাসযাত্রী। হাসপাতালে নেয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমরা দুইজনের মৃত্যুর খবর পাই। এর মধ্যে আলমগীর হোসেনের মরদেহ ফাঁড়িতে নিয়েছি। আর দুর্ঘটনাটি বেদে পল্লির পাশে হওয়ায় বাহরাম মিয়ার মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’