ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেদম মারধরের ঘটনায় আলোচিত পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আাদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এতে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হারুন অর রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন হারুন অর রশীদ পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
আগেরদিন রোববার অবশ্য দু দফা এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। তাকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে প্রথমে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) উত্তরে সংযুক্ত করা হয়। পরে প্রজ্ঞাপন জারি করে হারুনকে কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়।
ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনায় হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছেন সরকারি দলের সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। তাকে বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা বলেছেন অনেকে।
তবে সোমবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা মামলার পথে হাঁটবেন না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়, তাতে আস্থা রাখতে চান তারা।
৯ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে শাহবাগ থানায় নিয়ে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের দুই নেতা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।
ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে ডিএমপি। দুই দিনের মধ্যে সেই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।