জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের মনোযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন। তার উপস্থিতি দেশের আপামর জনগণকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত ও গর্বিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তা শুভবোধ সম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং কর্মকুশলতার উজ্জ্বল প্রভায় বিশ্ব নেতারা তার প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার মেধা, মনন, সততা ও সাফল্যে এক সময়ের দারিদ্রপীড়িত অনিশ্চিত অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের তোলা সেলফি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এতো দিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নয়, অন্যান্য বিশ্ব নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন। যার ছবি ও সংবাদ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাঙ্ক্ষা লালন-পালন করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি এই হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি প্রতিনিধি এবং সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
‘তাদের সরবরাহ করা বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে বিএনপি পুলকিত বোধ করে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চক্রান্ত করে। আবার যখন সত্য উন্মোচিত হয় তখন তারা নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বোনো।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস এবং ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ওপর একটি বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতির সামনে যে অঙ্গীকার করেছেন তিনি তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এক সময় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মঙ্গা-খরা পীড়িত এবং খাদ্য ঘাটতিতে জর্জরিত ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সে সংকট জয় করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
‘দেশের শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এসেছে। ১৩ লাখের বেশি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে ঘর দেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’