নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মামলা করার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার কাউন্দিয়া এলাকায় কফিল ব্রিকসের পাশে সোমবার ভোররাতে ফসলি জমির মাটি কাটার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে সাভার মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ওই জমির মালিক আলতাফ হোসেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার আলমনগর হাউজিং এলাকার বশির উদ্দিন মিঠু ও কাউন্দিয়া এলাকার মতিউর রহমান। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম রিকু, মধ্য কাউন্দিয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ইউনুস ও বড়দেশী এলাকার মামুন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সাত বছর আগে উত্তর কাউন্দিয়া এলাকায় ৪৭ শতাংশ জমি কেনেন আলতাফ হোসেন। এরপর বিভিন্ন সময় তার জমি অবৈধভাবে দখল করতে অভিযুক্তরা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এরই জেরে চলতি বছরের মে মাসে ফসলি জমির কিছু অংশের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেন অভিযুক্তরা। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি জমির মালিক আলতাফ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুন অর রশিদ জানান, কাউন্দিয়া এলাকায় অনেক দিন ধরেই অসহায় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। এসব চক্রকে মাটি কাটায় সহায়তা করতেন বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম রিকু। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে অসহায় জমির মালিকরা প্রতিবাদ করতে পারতেন না, তবে গতকাল একজন মামলা করলে মাটি কেটে নেয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে আজ দুপুরে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে।