বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল-২০২৩ পাস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:৩২

বিলে বলা হয়েছে, মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে পুরো কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

জাতীয় সংসদে ভূমি-সম্পর্কিত করগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে ভূমি উন্নয়ন কর বিল-২০২৩ পাস করা হয়েছে। রোববার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পাস হওয়া বিল অনুযায়ী, মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে পুরো কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে এই আইন প্রযোজ্য হবে না। সূত্র: ইউএনবি

বিলে বলা হয়েছে, আখ ও লবণ চাষের জমি এবং কৃষকদের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ বাদে) কর ছাড়ের আওতায় থাকবে।

কৃষি জমির ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা বা পৌর এলাকা নির্বিশেষে সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন করের হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে।

বলা হয়েছে, অকৃষি জমির ওপর ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণের জন্য দেশের সব জমিকে ভূমির গুণাগুণ ও ব্যবহার অনুযায়ী একাধিক শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।

সরকার যেকোনো ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণির ব্যক্তি বা সংস্থার উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারে। বিল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে আদায় করা যাবে।

সারাদেশে ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ছাড়াও যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে।

কোনো ব্যক্তি শহরে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জরিমানা হবে। সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট ইস্যু করে তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতি বছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ভূমি ব্যবহারের শর্ত বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।

এতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদির সংজ্ঞা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর